যাদুর জিনিস বা তাবিজ নষ্ট করার নিয়মঃ
সন্দেহজনক কিছু বা কোন তাবিজ যদি পাওয়া যায় সেটা নষ্ট করার জন্য একটি পাত্রে পানি নিন। এরপর সেই পানিতে যা যা পড়ে ফু দিবেন।
১. সুরা ফাতিহা ৭বার
২. আয়াতুল কুরসী ৭বার
৩. সুরা আ'রাফ ১১৭-১২২ নং আয়াত
وَأَوْحَيْنَا إِلَىٰ مُوسَىٰ أَنْ أَلْقِ عَصَاكَ ۖ فَإِذَا هِيَ تَلْقَفُ مَا يَأْفِكُونَ - فَوَقَعَ الْحَقُّ وَبَطَلَ مَا كَانُوا يَعْمَلُونَ - فَغُلِبُوا هُنَالِكَ وَانقَلَبُوا صَاغِرِينَ - وَأُلْقِيَ السَّحَرَةُ سَاجِدِينَ -قَالُوا آمَنَّا بِرَبِّ الْعَالَمِينَ - رَبِّ مُوسَىٰ وَهَارُونَ - ৭ বার
৪. ইউনুস ৮১-৮২ নং আয়াত
فَلَمَّا أَلْقَوْا قَالَ مُوسَىٰ مَا جِئْتُم بِهِ السِّحْرُ ۖ إِنَّ اللَّهَ سَيُبْطِلُهُ ۖ إِنَّ اللَّهَ لَا يُصْلِحُ عَمَلَ الْمُفْسِدِينَ - وَيُحِقُّ اللَّهُ الْحَقَّ بِكَلِمَاتِهِ وَلَوْ كَرِهَ الْمُجْرِمُونَ -
৭বার
فَلَمَّا أَلْقَوْا قَالَ مُوسَىٰ مَا جِئْتُم بِهِ السِّحْرُ ۖ إِنَّ اللَّهَ سَيُبْطِلُهُ ۖ إِنَّ اللَّهَ لَا يُصْلِحُ عَمَلَ الْمُفْسِدِينَ - وَيُحِقُّ اللَّهُ الْحَقَّ بِكَلِمَاتِهِ وَلَوْ كَرِهَ الْمُجْرِمُونَ -
৭বার
৫. সুরা ত্বহা ৬৯ নং আয়াত
وَأَلْقِ مَا فِي يَمِينِكَ تَلْقَفْ مَا صَنَعُوا ۖ إِنَّمَا صَنَعُوا كَيْدُ سَاحِرٍ ۖ وَلَا يُفْلِحُ السَّاحِرُ حَيْثُ أَتَىٰ -
৭বার
৬. সূরা ফালাক্ব ৭ বার।
৭. সূরা নাস ৭ বার।
পানিতে ফু দেয়ার পর সেই পানিতে তাবিজের কাগজ কিছুক্ষণ ডুবিয়ে রাখুন। ইনশাআল্লহ যাদু নষ্ট হয়ে যাবে। এরপর সেগুলো পুড়িয়ে ফেলুন বা অন্য কোন ভাবে নষ্ট করে ফেলুন।
আর ব্যবহৃত পানি মানুষের যাতায়াতের রাস্তা থেকে দূরে কোথাও ফেলে দিতে হবে। এমন কোথাও ফেলবেন যেন সেটা কোন মানুষের সংস্পর্শে না আসে।
***লক্ষণীয়ঃ ***
১। তাবিজ, পুতুল, কাগজ বা যাদুকরের দেয়া যেকোনকিছু উপরের আয়াতগুলো পড়া পানিতে ডুবিয়ে রাখবেন কিছুক্ষণ ( কমপক্ষে ঘন্টা খানেক)। কাগজে কিছু লেখা থাকলে সেটা ঘষে মুছে ফেলার চেষ্টা করবেন। লেখা মুছার পরে ছিড়ে টুকরো টুকরো করবেন। তারপর শুকিয়ে পুড়ে ফেলবেন। পুড়ানোর সময়ে আগুন এবং ধোয়া থেকে দুরত্ব বজায় রাখুন। নিশ্বাসের সাথে সেটার ধোঁয়া নেয়া থেকে খুব সতর্কের সাথে বিরত থাকবেন।
২। তাবিজ খালি হাতে না ধরে গ্লাভস ব্যবহার করতে পারেন। তাবিজ ধরার পূর্বে এবং নষ্ট করার পুরোটা সময়ে ফালাক, নাস পড়তে থাকবেন।
৩। তামা বা অন্য ধাতুর তাবিজ বা আংটিতে খোদাই করা লেখা থাকলে, লেখাটা ঘষে মুছে ফেলবেন। ঘষে মুছতে না পারলে পুড়িয়ে হলেও লেখাটা মুছে ফেলা জরুরী।
৪। তাবিজে গিট দেয়া থাকলে সাবধানে প্রতিটা গিট খোলার সময় সূরা ফালাক, সূরা নাছ পড়ে ফু দিতে থাকবেন আর খুলবেন। কোন পুতুল, মূর্তি এগুলো পেলে সাবধানে খেয়াল করবেন এদের গায়ে কোন পিন আছে কিনা। থাকলে প্রতিটা পিন খুলবেন। পিনগুলোও পানিতে ডুবিয়ে রাখবেন। তাবিজের ভেতরে কাগজ ছাড়াও অন্যকিছু থাকতে পারে। তাবিজ খোলার ক্ষেত্রে অনেক সময় খোলস ভেঙ্গে বের করা লাগতে পারে। যাই থাকুক, ভাঙ্গা টুকরোসহ সবটুকুই পানিতে ডুবিয়ে দিবেন।
৫। ব্যবহৃত পানি ফেলার জন্য এবং তাবিজ পুড়ানোর জন্য, সাধারনত মানুষের যাতায়াত হয়না এমন কোন জায়গা ঠিক করে নিবেন।
৬। কোন জায়গায় তাবিজ রাখা আছে সন্দেহ হলে সেখানে পরপর তিনদিন তাবিজ নষ্টের পানি তৈরী করে, সেটা ছিটিয়ে দিন। কারো বাসার দেয়ালে,ফ্লোরে অথবা যেকোন স্থানে তাবিজ আঁকা অথবা খোদাই করা থাকলে সেটা ঘষে মুছতে হবে। তারপর তাবিজ নষ্টের পানিটা ওখানে ছিটিয়ে দিতে হবে। অনেক সময় বাসা বানানোর সময়ে প্রতি কোণায় তাবিজ রেখে দেয়া হয়। সেক্ষেত্রে এসব কোণায় তাবিজ নষ্টের পানিটা ছিটিয়ে দিবেন পরপর তিনদিন অথবা সাতদিন।
৭। জ্যোতিষীর দেয়া কোন বিশেষ আংটি থাকলে তাবিজ নষ্টের পানিতে ডুবিয়ে রাখবেন। কিছুক্ষণ (ঘন্টা খানেক) রেখে তারপর ফেলে দিন। জ্যোতিষীরা বিশ্বাস করে পাথরের ক্ষমতা আছে। তাই কোনমতেই এই পাথর রেখে দেয়া যাবেনা।
৮। আপনি তাবিজ ব্যবহার করলে উপরোক্ত নিয়ম অনুযায়ী তাবিজ নষ্ট করবেন। তারপর তাবিজ ব্যবহার করার জন্য তাওবা করবেন।এবং তাবিজ ব্যবহার করা থেকে ফিরে আসবেন।
Post a Comment
Post a Comment